মোটা হওয়ার কুরআনী চিকিৎসা,মোটা হওয়ার সহজ উপায়,খেজুর ও শসা খাওয়ার নিয়ম,মোটা হওয়ার কুরআনী আমল
আসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু কোরআন ও হাদিস থেকে কিভাবে আপনি মোটা হবেন তার উপর দুটি হাদিস বর্ণনা করব তো চলুন আর দেরী না করে শুরু করা যাক।সম্মানিত বন্ধুরা আজকে আমরা জানবো চিকন হওয়ার থেক কিভাবে মোটা হওয়া যায়। তো অবশ্যই এই আলোচনাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যারা মোটা হতে চান তাদের জন্য।
প্রথমে যে হাদীসটি আমার কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে এটি নিয়ে আগে আমরা আলোচনা করব ঃ
মোটা হওয়ার কুরআনী চিকিৎসা
আজ কোরআন হাদিস থেকে মোটা হওয়ার আলোচনা থাকবে সম্পূর্ণ আলোচনা বুঝতে ধৈর্য ধরে আলোচনা টি শেষ পর্যন্ত পরবেন। আজকে যে হাদীসটি আপনাদেরকে জানাবো এটা আবু দাউদ শরীফের মধ্যে বর্ণনা করা হয়েছে আর এই অনুযায়ী যদি কেউ আমল করে কেউ যদি এই টিপসগুলো মেনে চলতে পারে আশা করছি অনেক অনেক বেশি ফল পাবেন অতি অল্প সময়ের মধ্যে এবং সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবেন ইনশাআল্লাহ।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর প্রিয়তমা স্ত্রী আয়েশা সিদ্দীকা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বর্ণনা করেছেন তিনি বলেন আমার মায়ের ইচ্ছা ছিল আমাকে স্বাস্থ্যবতী বানিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর নিকট পাঠাবেন এজন্য তিনি অনেক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন অনেক ডাক্তার দেখান এবং অনেক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তাতে কোনোটাতেই তিনি ফল পাননি। শেষে তিনি আমাকে পাকা খেজুর এর সাথে শসা খাওয়াতে থাকলে আমি তাতে উত্তমরূপে স্বাস্থ্যের অধিকারী হয় অর্থাৎ তিনি নিজেও ফল পেয়েছেন এই হাদিসটা আবু দাউদ শরীফের 3903 নাম্বারে বর্ণনা করা হয়েছে। এবং হাদীসটি সহি অনেক গুরুত্বপূর্ণ হাদিস।
আশা করি এই অনুযায়ী যদি কেউ আমল করে তাহলে অতি অল্প সময়ের মধ্যে সুস্বাস্থের অধিকারী হবে তাছাড়া হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাযিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে আরেকটা হাদিস আছে সেটাও আবু দাউদ শরীফের মধ্যে তিনি বলেন আমার মা আমাকে রাসূল সাল্লাহু আলাই সালাম এর সংসারে পাঠাতে চাচ্ছিলেন বিধায় আমার দৈহিক পরিবেশের জন্য চিকিৎসা করাবেন কিন্তু তা কোনো উপকারে আসে না অবশেষে তিনি তাজা খেজুরের সাথে শসা মিশিয়ে খাওয়াতে থাকেন এবং এতে আমি উত্তমরূপে দৈহিক পরিবেশটি লাভ করি। এই হাদীসটি আবু দাউদ শরীফের 3324 নাম্বারে বর্ণিত হয়েছে।
খেজুর ও শসা খাওয়ার নিয়ম
আর খেজুর ও শসা একসঙ্গে খাওয়া এটা সুন্নত অথবা খেজুর এবং খিরাই একসাথে খাওয়া সুন্নত এ ব্যাপারে আব্দুল্লাহ ইবনে জাফর রাযিআল্লাহু তা'আলা আনহু বর্ণনা করেছেন তিনি বলেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সহসা ও খেজুর একত্রে খেতেন। এই হাদীসটিকে মাজার শরীফের 3325 নাম্বারে বর্ণনা করা হয়েছে এ জন্য এক কথায় বলতে গেলে এটা মোটা হওয়ার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী একটা পদ্ধতি।
রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম তিনি নিজেও খেতেন এবং তার প্রিয়তমা স্ত্রী অনেক কাছের স্ত্রী এক কথায় বলতে গেলে খাদিজা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এর পরে সবচেয়ে বেশি মর্যাদার অধিকারী এবং সবচেয়ে বেশি ভালোবাসার পাত্রী ছিলেন হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা উম্মাহাতুল মুমিনীন। তিনি এই আমল টা করতেন তাই যারা মোটা হতে চাচ্ছেন কিনবা বিভিন্ন ডক্টর দেখাচ্ছেন এবং বিভিন্ন টিপস খুজতেছেন তো তাদের জন্য এই আমলটি। এই অনুযায়ী যদি তারা খেতে থাকেন আশা করা যায় অতি অল্প সময়ের মধ্যে আল্লাহ সুবহান তালা রহমতে আপনারা ফল পাবেন ইনশাআল্লাহ।
এর পর আমরা দ্বিতীয় যে আমল নিয়ে কথা বলবো তা একটি বর্রকত পূণ আমল হতে পারে আপনার জন্যঃ
এইতো দ্বীনি ভাই ও বোনেরা মোটা হওয়ার জন্য যে আমল আপনাদেরকে জানাবো সরাসরি কুরআনুল কারীম থেকে কোরআনুল কারীম থেকে আমরা জানাবো অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পরবেন। তো মোটা হওয়ার জন্য আমরা যদি প্রতিদিন সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পর কয়েকটা আমলের কথা বলবো কুরআনে কারীম থেকে।
মোটা হওয়ার কুরআনী আমল
প্রথমত আমাদেরকে এগারোবার ইস্তেগফার পাঠ করতে হবে। সেটা যেকোন ইস্তেগফার হতে পারে বড় ইস্তেগফার ছোট ইস্তেগফার পারবেন ১১ বার অথবা ১৩বার।
তারপর পরবেন সবচেয়ে ছোট দরুদ শরীফ অথবা বড় দরুদ শরীফ ( সা) আপনার চাইলে দরুদে ইব্রাহিম যেটা আমরা নামাজের পরে থাকি সেটা ১১ বার।
তারপর আপনাকে ফাতিহা পাঠ করতে হবে ৫ বার এবং আরও দুইবার মোট সাতবার। সূরাতুল ফাতেহা 7 বার পাঠ করার পর এক গ্লাস পানি নেবেন ওই পানির মধ্যে ফু দিবেন একবার দেওয়া হলে তারপর যারা আপনার সূরাতুল ইয়াসিন পাঠ করতে পারেন অর্থাৎ ২৩ নাম্বার পারার মধ্যে রয়েছে এই সূরা যারা কোরান পড়তে পারেন অথবা অন্য কেউ যদি পড়ে ফুঁ দিয়ে দেই তারপরও হবে।
যারা পাঠ করতে পারেন তাদের জন্য অত্যন্ত ফলপ্রসূ হবে এবং দ্রুত মোটা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দিনের বেলা যেকোনো এক সময় কেউ যদি এই আমলগুলো করে সূরা ইয়াসিন পাঠ করে পানি খেতে পারে আল্লাহ সুবহানাহুওয়া দ্রুত অল্প সময়ের মধ্যে তার স্বাস্থ্য ভালো হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
আমলটা কমপক্ষে আপনারা ২০ দিন করার চেষ্টা করবেন এবং যথাসম্ভব এমন করলে হবে না আল্লাহর ভরসা করে বসে থাকলেই চলবে না ঘরে খাবার আসবে না ঘরে বসে রইলেন আল্লার উপর ভরসা করে খাবার আসবে বিষয়টা এমন না ভরসা করতে হবে চেষ্টা করতে হবে আপনাকে আমল করতে হবে একটু ভালো ও পুষ্টিকর খাবারও খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। সম্মানিত বন্ধুরা তো কেউ যদি ইয়াসিন পাঠ করতে না পারেন তাহলে আপনারা শুধু ফাতিহা এবং ইতিপূর্বে যে দুইটা আমলের কথা বলেছি এই তিনটা জিনিস পড়ে ফুঁ দিয়ে খেতে থাকবেন তবে যারা এই কাজটা করবেন তাদেরকে আমলা টি করতে হবে ৪০ দিন.। তার যারা এই আমলটি করতে করতে মাঝখানে গেপ দিবেন সমস্যার কারণে সমস্যা শেষ হলে আবার পুনরায় আমলে শুরু করবেন।
এভাবেই আমালটা করেন ইনশাআল্লাহ কুরআনে কারীমের আমল হওয়ার কারণ এবং বহুপরিচিত এবং পরীক্ষিত আমল হওয়ার কারণে আল্লাহ তা'আলা অবশ্যই আমাদেরকে অতি দ্রুত সুস্থতা দান করবেন।
আর হাদিস গুলো আপনারা কিতাব খুলে দেখতে পারেন সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু।