ইউরিক্যাল সিরাপ,ইউরিক্যাল সিরাপ এর দাম,Urikal syrup কি কাজ করে,Urikal Syrup
Urikal Syrup,ইউরিক্যাল সিরাপ
ইউরিক্যাল সিরাপ এটি একটি ইনসেপ্টা ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানি একটি মেডিসিন, তবে এটি কিডনি জাতীয় সমস্যার কারনে ইউরিক্যাল সিরাপ ঔষুধটি ডাক্তার বেশিই পাধান্য দিয়ে থাকেন।
ইউরিক্যাল সিরাপ এর দাম ১০০ মিলি বোতলের মূল্য 120 টাকা
ইউরিক্যাল সিরাপ এর দাম২০০ মিলি বোতলটি মূল্য ২০০ টাকা
আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভালো আছেন কিডনিতে পাথর গুলো জমে থাকে সেগুলো কে রেনাল পাথর বা নেফ্রোলিথিয়াসিস বলা হয়ে থাকে। এ পাথরগুলো কঠিন বজ্র পদার্থ দিয়ে গঠিত ক্যালসিয়াম অক্সাইড ইউরিক অ্যাসিড এবং সিসটয়ইন মিলে কিডনির পাথর গুলো তৈরি করে থাকে। আজকের পোষ্টে থেকে আপনি জানতে পারবেন ঠিক কী কী কারণে আপনার কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বেশি এবং কিডনি পাথর প্রতিরোধে ইউরিক্যাল সিরাপ কার্যকারিতা সম্পর্কে।
কিডনিতে ছোট ছোট পাথর জমে আপনার মূত্রনালীতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে, মূত্রনালীতে বাধা সৃষ্টি হওয়ার পর রোগীর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। যেমন এর প্রাথমিক লক্ষণ হচ্ছে পেটে ব্যথা বমি বা মূত্র আটকে যাওয়া বা মূত্রের সাথে রক্তপাত হতে পারে কি কারণে কিডনি পাথর হয় তা নিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানে অনেক গবেষণা হয়েছে এবং গবেষণা চলছে। কিডনিতে পাথর হওয়ার প্রথম যে কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় সেটি হচ্ছে ডিহাইড্রেশন মানে শরীরের পানির পরিমাণ কমে যাওয়া বিশেষ করে যারা গরম আবহাওয়ায় কাজ করে থাকেন তারা পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করেন না বা পানি পান করার সুযোগ পান না তাদের শরীরে পানির পরিমাণ কমে পাথর তৈরি আশঙ্কা বেড়ে যায়।
এক্ষেত্রে প্রবাসীরা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যে সকল প্রবাসী ভায়েরা থাকেন প্রচুর গরম আবহাওয়ায় কাজ করেন সেখানে প্রচুর পরিমাণে কিডনি তে পাথরের রোগী পাওয়া যায়। রোগীর শরীলে প্রথমে কিডনি পাথর তৈরি হয় পরে কিডনিতে হয়ে প্রসাবের নালি হয়ে নেমে আসে তখন থেকেই রোগীর শরীলে প্রসাবের থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে দেয়। পরে যখন রোগী ডাক্তার কাছে যায় তখন রক্ত পরীক্ষা আলতাসনো পরীক্ষার মাধ্যমে কিডনি ও মূত্রতন্ত্রের পাথর শনাক্ত করে থাকেন।
ইউরিক্যাল সিরাপ বাজারে নিয়ে এসেছে ইনসেপ্টা ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেড ইউনিট প্রতি এক চামচ রয়েছে প্রতি নাইট ১৫০০মিলিগ্রাম এবং সাইট্রিক এসিড মনোহাইড্রেট ২৫০ মিলিগ্রাম
Urikal syrup কি কাজ করে
ইউরিক্যাল সিরাপ, কিডনি তে পাথর তৈরিতে প্রতিরোধ Urikal syrup কাজ করে। কিডনি মূত্রনালী কিংবা মূত্রথলিতে পাথর জমতে দেয়না।যাদের মূত্রনালীতে ব্যথা জ্বালাপোড়া প্রস্রাব করার সময় শরীর ঝাকি দিয়ে ওঠে, প্রস্রাবে অত্যাধিক জ্বালাপোড়া করা, পস্রাবের সাথে সাদা স্রাব এর মত যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে এই ইউরিক্যাল সিরাপ এ ধরনের সমস্যা উপশম করে থাকে। ইউরিক্যাল সিরাপ ওষুধের সাথে বাত প্রতিরোধে এবং কিডনি সমস্যার কারণে এসিডক্সুস উপস্থিত হলে ইউরিকাল সিরাপ দারুন কাজ করে থাকে।
তো চলুন জানা যাক কিডনি পাথর তৈরি প্রতিরোধে আপনি কিভাবে ইউরিক্যাল সিরাপ সেবন করবেন
প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে দুই থেকে তিন চামচ দিনে তিন থেকে চারবার এক গ্লাস পানিতে ভালো করে মিশিয়ে সেবন করতে হবে। কোনোভাবেই এই ওষুধটি পানিতে মেশানো ছাড়া খাওয়া যাবে না। আর শিশুদের ক্ষেত্রে এবং আপনার শরীরের অবস্থা অনুযায়ী ওষুধ সঠিক মাত্রা নির্ধারণ করতে অবশ্যই একজন ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে ইউরিক্যাল সিরাপ গ্রহণ করবেন।
এছাড়া ওষুধের ড্রাগ ইন্তেরাকশন ও বিভিন্ন সাইট ইফেক্ট এরাতে অবশ্য একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন। তবে যারা কিডনি রোগের মারাত্মক সমস্যায় ভুগছেন যেমন অলিগুরিয়া আযোতেমিয়া এডিসন রোগ হাইপারক্যালেমিয়া ইত্যাদি রোগের চিকিৎসা করে থাকেন ইউরিক্যাল সিরাপ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
অনেক ক্ষেত্রে হালকা কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে সবার ক্ষেতে এমন প্রতিক্রিয়া হবে তাও কিন্তু নয় যেমন খাবারে অনীহা দুর্বলতা মানুষিক বিভ্রান্তি হাত পা শিরশির করা এবং অন্যান্য উপসর্গ দেখা যেতে পারে যদি উপসর্গগুলো মারাত্মক আকার ধারণ করে তাহলে আপনার ডক্টরকে বিষয়টি অবহিত করুন।
আর গর্ভাবস্থা এবং স্তনদানকালে ব্যবহারের তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি তাই এই সময়ে শিবরাত্রি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
ইউরিক্যাল সিরাপ সম্পর্কে আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন আমরা সেখানে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব ইউরিক্যাল সিরাপ দুইটি আকারে পাওয়া যায় ১০০ মিলি এবং ২০০ মিলি কাচের বোতলের ১০০ মিলি বোতলের মূল্য 120 টাকা এবং ২০০ মিলি বোতলটি মূল্য ২০০ টাকা।
বিশেষ সতর্কতাঃ আমার পোষ্টে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে কেউ ঔষধ সেবন করবেন না। আমি এই পোষ্টে করেছি আপনাদেরকে এই ঔষধ সম্পর্কে বেসিক ধারণা দেওয়ার জন্য। আমার অথবা বর্ণনা প্রেসক্রিপশন এর বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না। এর পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করুন কারণ চিকিৎসক রোগীর সকল দিক বিবেচনা করে ঔষধ নির্বাচন ও নির্ধারণ করে থাকেন।
ওষুধ কেনার আগে উৎপাদন তারিখ এবং মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ দেখে ক্রয় করবেন এবং সকল ঔষধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন