প্রসাবের জ্বালা যন্ত্রণা সমাধান ও প্রতিকার
আমাদের দেশে এরোগ সব ধরনের মানুষেরি হয়ে থাকে শুধু মেয়ে দেরি হয় এমনটা কিন্তু নয়। অনেক ক্ষেত্রে ছেলেদেরও এ রোগ হয়ে থাকে। এ ধরনের সমস্য হলে প্রসাবের আগে কিনবা প্রসবের পরে অনেক জ্বালা পোড়া হয়ে থাকে।
এটি একটি সংক্রমণ জনিত রোগ। এই রোগটি যখন পেশাবের ইনফেকশন হয় তখনই এই রোগেরউপস্থিতি লক্ষ করা যায়। তবে এ রোগটি বিভিন্ন কারণে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। এবং আপনাকে ধীরে ধীরে অসুস্থত করে তুলতে পারে।
এই রোগটি কেন হয় এবং কিসের জন্য হয়ে থাকে তা নিয়ে অলোচনা করা যাক
এ রোগটি হওয়ার উপযুক্ত অনেকগুলো কারণ রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু কারণ উল্লেখ করা হলো :
১.শরীরে যখন পানির মাত্রা কমে আসে এবং শরীরে স্বাভাবিকের তুলনায় আমরা যখন পানি কম পান করি তখন আমাদের শরীরল পানির এক বিশাল ঘাটতি অভাব অনুভব করে। এই সময় আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমান পানির প্রয়োজন হয়। আর যখন আমরা পর্যাপ্ত পানি পান না করি তখন এ ধরনের সমস্যা প্রলক্ষণ করতে দেখা যায়। এইজন্য বলা যায় পর্যাপ্ত পানি পান না করলে এই ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।
২.এ রোগের আরো একটি অন্যতম মূল কারণ হচ্ছে হস্তমৈথুন অতিরিক্ত যদি কেউ হস্তমৈথুন করে তাহলে আমরা অনেক সময় এ রোগের উপস্থিতি টের পায় অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও কার্বহাইড্রেটস বেরিয়ে যায় যার ফলে এ ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হতে দেখা যাই।
৩.অতিরিক্ত মার্তাই যদি নিয়ন্ত্রণ ছাড়া ভাজাপোড়া খাওয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে অনেক সময় পেটে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয় আর এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকেও এই সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে। তাই স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে ভাজাপোড়া পরিহার করা সব থেকে দূরে থাকাই উত্তম
৪.যে ধরনের খাবার খেলে আপনার পেটের সংক্রামক হতে পারে এমন খাবার খেলে যদি আপনার ডায়রিয়া হয়। তবে ডায়রিয়া থেকে এই রোগের সংক্রমণ সৃষ্টি হওয়ার কারণে ডায়েরা হতে এ রোগ হতে পারে।
৫. মেয়েদের মাসিক অবস্থায় এ ধরনের সমস্যা দেখা যায় যদি মেয়েদের মাসিকের সাথে রক্ত বা সাদা স্রাব হতে অতিরিক্ত পর্যায়ের রক্ত বের হয় তখন এই সমস্যা দেখা
৬.যেহেতু মেয়েদের মলদ্বার ও যোনিপথ প্রায় পাশাপাশি অবস্থিত। এই ক্ষেত্রে যখন তারা
প্রসাব পায়খানার পর সেই স্থান ভালোভাবে পরিষ্কার না করে তাহলে সে মলদ্বারের জীবাণু সেখানে গিয়ে সংক্রামক ঘটাতে পারে এবং এ ধরনের সমস্য সৃষ্টি করে থাকে।
এছাড়াও ইত্যাদি অনেকগুলো কারণ রয়েছে যেগুলোর কারণে প্রসাবে জ্বালাপোড়া হতে পারে তবে এটি একটি ইনফেকশন জনিত রোগ তাই এটি নিয়ে অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই যত দ্রুত সম্ভব এই রোগের চিকিৎসা করাই সবচাইতে উত্তম।
এবার আসুন জেনে নেই এই রোগের চিকিৎসা কিভাবে করবেন।
এ রোগের জন্য অভিজ্ঞ ডাক্তারের দুটি দিয়ে থাকে।
১. Uri_k সিরাপএবং
২.Ciprobey 500/
৩.Ciprocin 500 Tablet
এই দুই টেবলেট এর মধ্য হতে আপনি যে কোন একটি কিনে নিতে পারেন। দুটোই একই কাজ করে।
ঔষধ খুবই ভালো মানের এবং এ দুটি ব্যবহার করলে ইনশাল্লাহ আপনি যথাযথভাবেই সুস্থ হয়ে উঠবেন।
যদি নিয়মিত আপনি এ দুটি ওষুধ ব্যবহার করেন তাহলে ইনশাআল্লাহ আমরা বলতে পারি আর দুই থেকে তিনদিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠবেন।
তবে মনে রাখবেন এই শহরের সিরাপটি খাওয়ার সময় অবশ্যই সতর্কতার সাথে খাবেন কারণ এটি অনেক পাওয়ারফুল একটি সিরাপ তাই এটি পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়াটাই সবচেয়ে উত্তম।
সবশেষে আমরা একটা কথায় বলে থাকি আপনার যেকোনো রোগ হোক কিনবা সমস্য হক না কেন আপনি সবসময় একজন ভালো অভিজ্ঞ ডক্টরের থেকে আপনার রোগ সম্পকে পরামর্শ নিবেন।
আমাদের সাথে থাকবেন আর আপনার মূল্যবান মতামত কমেন্ট এর মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে ভুলবেন না ধন্যবাদ।