আল্লাহর নবী রাসুলের (সাঃ) আজরাইল আঃ কে সলাম দিলে সালামের উত্তর না দেওয়াই তিনি চিন্তত হয়ে পরেন। আল্লাহ সরাসরি আজরাইল কে ডেকে বলেন আজরাইল আমার নবী মুহাম্মদ এর সালাম এর উওর দাও এবং যা যা জিজ্ঞাসা করে তুমি সঠিকভাবে জবাব দিয়ে দাও।
আজরাইল আঃ নবীর সালামের উত্তর দিয়ে তাঁর আসন ছেড়ে নবীর কাছে গিয়ে আদবের সাথে গিয়ে বললেন নবী আপনি আমাকে ক্ষমা করবেন। আল্লাহ আমাকে সৃষ্টির পর থেকে এই পর্যন্ত একটা মুহূর্ত আমাকে সময় দেয় নাই আমি কারও সালামের উত্তর দিব। কারণ এ সুযোগ টাও আমার হয়নি কারণ আমাকে পৃথিবীতে প্রতিদিন কোটি কোটি প্রাণের জান কবজ করতে হয়।
নবী আমার জীবনে আমি এই আপনাকে সহ আমি তিনবার আসন ছারলাম।
একবার মুসা আলাই সালাম এর জান কবজ করার সময়, আর দ্বিতীয়বার হযরত আদম (আ) সৃষ্টির সময় যে মাটি আনতে বলেছিলেন তখন।
জিবরীল আসসালাম মাটি আনতে অস্বীকার করেছিলেন কারণ মাটির কাছে গিয়েছিলেন মাটি তখন বলছিলো আল্লাহর কসম জিবরীল এই মাটিতে তুমি হাত দিবা না। এই দিয়ে আল্লাহ মানুষ বানাবে আর সে মানুষ গুলা আল্লাহ নিষেধ অমান্য করে গুনহা করবে আর আগুনে পুড়বো আমি এটা আমি হতে দিবোনা। জিবরীল আ) চলে যান মিকাইল (আ) চলে যান। আল্লাহ তখন আজরাইল (আ) কে অর্ডার করেছিলেন আজরাই তুমি যাও আজরাইল (আ) যখন মার্টিতে হাত দিবে দিবে পার্টি আবার চিলল্লাই উঠছে খবর দাড় দ আমার গায়ে হাত দিওনা।
এই আমাকে দিয়ে আল্লাহ মানুষ বানাইবে আর তারা নাফরমানি করে তাদের জাহান্নামে যালাবে এত কষ্ট আমি সইতে পারব না। আজরাইল আলাই সালাম এর পর মাটিতে যকন থাবা দিয়েছিলেন তখন তার এক থাবাতে ৪০ মন মাটি উঠেছিল। সেই এঁটেল মাটির ৪০ দিন বৃষ্টি দিয়ে আল্লাহ নরম করেন এরপর আল্লাহ কুদরত বৃষ্টি দিয়ে হয়রত আদম (আ)সৃষ্টি করেছিলেন এবং ব কুদরতি হাত দিয়ে আল্লাহ প্রত্যেকটা মানুষের চেহারা তৈরি করেছিল। এই আজরাইল (আ) ঐ উঠেছিলেন আর মুসা নবীর জান কবজ করার সময় আর আজকে উঠেছেন।
আল্লাহর নবী প্রশ্ন করেন হে আজরাইল তুমি কিরম পরমাণ মানুষের জান কবজ করও আর তোমার কি একটুও কষ্ট হয় না। আজরাইল (আ) বলেন আল্লাহ আমাকে এত কঠোর হৃদয় দিয়ে বানাইছে আমি বহু মাকে সন্তানহারা করে ফেলি।
আমার দিলটা এত কঠোর বানাইছে আমি বহু ভায়ের সম্পর্ক ছিন্ন করে ফেলি আল্লাহ আমার দিলকে এতো কঠোরতা দিয়েছে।
আল্লাহর নবী বলেন তুমি এত জান কিভাবে কবজ করো তখন আজরাইল (আ) বলেন হে নবী আল্লাহ তাআলা এই যে একটি গাছটা সৃষ্টি করেছে দেখেন। এই গাছের ভিতর এত পরিমান পাতা আছে যত পরিমাণ প্রাণ আছে ঐ পরিমাপ পাতা আল্লাহু সৃষ্টি করেছেন।
যেই প্রণি যেই মানুষ মারা যাবে ওই মানুষ মারা যাওয়ার চল্লিশ দিন আগে এই গাছের পাতা আমার সামনে আপনি য়ে টেবিল দেখতেছেন এই টেবিলের উপর ছিরে পরে আমি তখন গাছের পাতাটা লক্ষ্য করে দেখি কার নাম। আমি আমার ডাইরি খুলি তার পরে দেখি কেন ব্যক্তি কোন জায়গা অমুক জায়গা অমুক দিন মৃত্যুবরণ করবে। আমি তার ঠিকানার সবকিছু লিখা থাকে আমি তার পৃষ্ঠাটা ছিরে। আসমানে ঝুলিয়ে দিয় এবং গোট আসমানের সবাই জেনে ফেলে আগামী ৪০ দিনের মাথায় মনিরামপুরের মদিনারি মাদ্রাসার কিনারায় অমুক ব্যক্তির জান কবজ হয়ে যাবে এবং পৃথিবী থেকে সে বিদায় হয়ে যাবে।
আল্লাহর নবী প্রশ্ন করলেন হে আজরাইল তোমার চেহারা চারটা কেনো।আজরাইল (আ) চেহার কয়টি ? উওর :চারটি
আল্লাহর নবীর উত্তরে আজরাইল বলেন হে নবী আপনি আমার সামনের এই চেহারাটা দেখপ এটা আল্লাহ তালা তার নূর দ্বারা সৃষ্টি করেছেন আমি আমার এই নূরের চেহারা দিয়ে মুমিন বান্দার জান কবজ করি।আমার ডান পাশের যে চেহারা টা দেখছেন আমার এই চেহারা আল্লাহর আযাব দিয়ে সৃষ্টি করেছেন আমি এটা দিয়ে মুনাফিকের জান কবজ করে থাকি। আমার বামদিকের চেহারাটা আল্লাহতালার রাগ বা ক্রোধ দিয়ে সৃষ্টি করেছেন এটা দিয়ে আমি পাপী বান্দার জান কবজ করে থাকি। আর আমার পিছনে যে চেহারটি দেখেন এটা জাহান্নামের আগুন দিয়ে বানিয়েছন এটা দিযে আমি মুশরিক ও কাফেরদের জান কবজ করে থাকি।
আজরাইল আঃ সালামের এক হাত পশ্চিমে আরেক হাত পূর্বে পৃথিবীতে তার এক পাও দক্ষিণে আরব আরেক পাও উত্তরে আজরাইল (আ) এত ভয়ংকর আল্লার নবী বলেন পুরো পৃথিবীর পানি যদি আজরাইল (আ) মাথায় ফেলে দেওয়া হয় পুরো সমুদ্রের পানির সাগরের পানি আটলান্টিক ও প্রশান্ত বঙ্গব সাগর আরব সাগররের পানীয় যদি তার মাথাই ঢালা হয় তার থেকে এক ফোঁটা পানিও নিচে পরবেন।
আজরাইলের শরিলে আল্লাহতালা যে দুইটি পাখা দিয়েছেন এই পাখায় আল্লাহ আরও কোটি কোটি পালক সৃষ্টি করেছেন প্রত্যেকটি পালক রয়েছে দুটি চোখ রয়েছে দুটি হাত রয়েছে অর্থাৎ পৃথিবীতে যে পরিমাণ প্রাণী আজরাইলের দুই হাতে সেই পরিমান পালক আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন যে দিন মানুষ মারা যায় একটা পালক ছিঁড়ে পড়ে যায় আবার একজন জন্মগ্রহণ করেন আল্লাহ সেখানে আবার একটা পালক সৃষ্টি করে দেন।
যেদিন মানুষ মারা যায় সে দিন একটা পালক ছিঁড়ে পড়ে যায় আবার একজন জন্মগ্রহণ করেন আল্লাহ সেখানে আবার একটা পালক গজিয়ে দেন।
এই হলো আজরাইল কেও আজরাইল কাছ তেকে বাচতে পারবো কটতা ভয়ংকর হবে। কেউ বাঁচতে পারব আজ থেকে পালাতে পারব যত প্লান করি কোন কাজ হবে.?
প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে। আল্লার নবি সহীহ হাদীসে বলেন একটা মানুষেকে যেমন টেবিলে রাখা ফল ঘুরে ঘুরে খেতে হয় না ঠিক আজরাইল (আ) কেও জান কবজ করার জন্য উঠে যেতে হয় না।
আর আপনি আমি সবাই আজরাইল (আ) এর থেকে পালানোর চেষ্টা করি। আল্লাহু আমাদের সহী বুঝদান করুন এবং সঠিক পথ দেখান আমিন।