Recent Posts

ওজন বাড়ে যেসব খাবারে,কোন বাদাম খেলে ওজন বাড়ে,দ্রুত ওজন বাড়ে কি খেলে,কোন বাদাম খেলে ওজন বাড়ে

 

ওজন বাড়ে যেসব খাবারে,কোন বাদাম খেলে ওজন বাড়ে,দ্রুত ওজন বাড়ে কি খেলে,কোন বাদাম খেলে ওজন বাড়ে।

ওজন কিভাবে বাড়ানো যায় সেটা অনেকেই জানতে চেয়েছেন আজকের পোষ্টে একদম ভেঙে ভেঙে বলবো ওজন বাড়াতে সকাল দুপুর রাতে কি খাবেন।

কোন ধরনের ব্যায়াম করবেন আর তারপর বলব খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু সতর্কতাঃ যেমন কিছু রোগের কারণে ওজন কম থাকতে পারে এবং সে ক্ষেত্রে ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন প্রথমেই চলে আসি সকালের নাস্তায় ওজন বাড়ানোর জন্য সকালের নাস্তায় যে খাবারগুলো যুক্ত করতে পারেন তার মধ্যে রয়েছে দুধ কলা ডিম ও খেজুর। 

এছার যে কথা বললেই নয় তা হলো আমাদের শরীরের যত ধরনের পুষ্টি দরকার তার প্রায় সবগুলোই দুধে পাওয়া যায়। প্রচুর ক্যালসিয়াম আছে যা আমাদের হাড়গোড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে ভিটামিন বি টুয়েলভ আছে যা আমাদের রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে আর দুধের একটা বড় সুবিধা হলো অন্যান্য খাবারের সাথে খুব সহজেই এক গ্লাস দুধ খেয়ে নেয়া যায়। এটা আপনাকে ওজন বাড়াতে খুব ভালো সাহায্য করবে। 


কোন বাদাম খেলে ওজন বাড়ে

তারপর যে খাবার কথা আসে তা হলো কলা কলাতে ভালো পরিমাণে ফাইবার আছে যা আমাদের হজমে সাহায্য করে হার্টের রোগের ঝুঁকি কমানোর সাথে একটা সম্পর্ক আছে আবার খুব সহজলভ্য বাজার সব সময় পাওয়া যায় খাওয়ার আগে কাছাকাছি কোন ঝামেলা নাই তাই সকাল বেলা থেকেই একটা দুইটা কলা খেয়ে ফেলতে পারেন। 


এরপর হচ্ছে ডিম ডিমকে অনেকে বলে প্রকৃতির মাল্টি ভিটামিন ডিমে ভিটামিন এ আছে যা আমাদের চোখে স্বাস্থ্য ভালো রাখে ভিতামিন b2 আছে যা আমাদের ত্বককে ভালো রাখে জিংক আছে যা আমাদের রোগ-প্রতিরোধক্ষমতা খুব গুরুত্বপূর্ণ এমন আরও অনেক ভিটামিন মিনারেল সমৃদ্ধ হল ডিম পাওয়া যায় অল্প দামে আর প্রায় সব খাবারের সাথে খাওয়া যায় তাই সকাল সকাল নাস্তা এর সাথে ডিম সিদ্ধ করে খেয়ে নিতে পারেন।


এটা আপনার ওজন বাড়াতে ভালো সাহায্য করবে।ডিম ভাজি কথা বলছি না কারণ অস্বাস্থ্যকর তেল দিয়ে ভাজা সেটা আবার শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

খেজুর খেলে কি ওজন বাড়ে

তারপর আসি খেজুরে এটা একটা অসাধারণ ফল ক্যালসিয়াম ম্যাগনেশিয়াম আছে যা হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে আয়নার ফলিক অ্যাসিড আছে যার রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে ফাইবার আছে যার উপকারিতা আমি বলেছি মোটকথা খেজুরের পুষ্টিগুণ অসাধারণ শরীর-স্বাস্থ্য দুইটাই উপকার হবে। 


আচ্ছা আমি এই যে খাবার গুলোর কথা বললাম 

দুধ কলা ডিম খেজুর এগুলো সকালেই খেতে হবে বা প্রতিদিনই খেতে হবে এমন না। আমি বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করছি ওজন বাড়াতে কেন এই খাবারগুলো খাবেন। মোটামুটি স্বাস্থ্যকর খাবার গুলো আপনি প্রতিদিন এর মধ্যে থেকে একটা দুইটা খাবার সুবিধামতো যুক্ত করতে পারবেন। এই খাবারগুলো কি পরিমাণে খাবেন। সেটা দুপুর ও রাতের খাবার বলার পরই বুঝিয়ে বলছি।


এখন দুপুরবেলার খাবার কথা বলা যাক দুপুরের খাবার ডাউল  খাবেন পাতলা নয ঘন ডাউল খাবার চেষ্টা করবেন। ডাউল কে হেলা ফেলার চোখে দেখবেন না  এটা খুবই পুষ্টিকর একটা খাবার প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে ডাউলে। গরুর মাংস খাসির মাংস থেকে আমরা যেমন প্রোটিন পাই ডাল থেকেও তেমন প্রোটিন পাই কিন্তু গরুর মাংস যেমন  ক্ষতিকর চর্বি থাকে ডালের সেই ঝুঁকি নেয়। তারপর আয়রন পটাসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম আরো অনেক ধরনের পুষ্টি আছে এই সবগুলোই সুস্থ শরীরের জন্য প্রয়োজন।


ডাল আরেকটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে বুঝিয়ে বলি আমাদের পেটের নাড়িভুড়ি কোটিকোটি জীবাণু আছে এই জীবাণু আমাদের অসুস্থ করে না বরং সুস্থ রাখে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভিটামিন তৈরি থেকে শুরু করে শরীরের নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজে অংশ নেয় এই জীবাণুগুলোকে সুস্থ রাখার জন্য উপকারী জীবাণু বাঁচিয়ে রাখার জন্য বিশেষ কিছু খাবার আছে এগুলোকে বলা হয় পিভটিক খাবার ডাল হলো এক প্রকারের প্রোবায়োটিক খাবারের ডালের নির্দিষ্ট কিছু উপাদান আমাদের পেটের নাড়িভুড়ি উপকারী জীবাণু গুলো খাদ্য তাদেরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে তাই প্রতিদিনের খাবারের ডাল রাখতে পারেন।


আর আগে যে কলার কথা বলেছি সেটাও এক ধরনের প্রোবায়োটিক খাবার অর্থাৎ উপকারী জীবাণু খাদ্য তারপর দুপুরের খাবার শেষে আপনারা একবাটি টক দই খেতে পারেন টক দই দুধ দিয়ে বানানো তাই দুধের পুষ্টি সাথে আরও অনেক উপকারী জীবাণু থাকে একটু আগে যে নারি ভুড়ি জীবনুর কথা বললাম টক দই খেলে আপনি সেগুলোর সাথে আরো নতুন করে অনেকগুলো উপকারী জীবাণু যোগ করতে পারেন অর্থাৎ বাইরে থেকে আপনি ভালো জীবাণু পেটের ভেতর ঢুকাচ্ছেন এগুলো পড়ে ক্ষতিকর জীবাণু থেকে আপনাকে সুরক্ষা দিবে।



অনেকে বলতে পারেন মিষ্টি দই ও তাহলে খাওয়া যায়। মিষ্টি দই তেও অনেক পরিমাণে উপকারী জীবাণু আছে। তবে মিষ্টি দই সাধারণত অনেক পরিমাণে চিনি দেয়া থাকে অনেক চিনি অস্বাস্থ্যকর তেল বা চর্বি যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন সেগুলো বেশি খেলে শরীরের চর্বি ওজন বাড়তে পারে তাই আমার পরামর্শ হবে দই উপকারিতা পেতে চাইলে টক দই খাওয়া মিষ্টি দই কখনোই খাওয়া যাবে না। তা না কখনো ইচ্ছে হলে পরিমিত পরিমাণে খেলে তবে নিয়মিত খাবেন না।


তার পর দুপুরের খাবারের মুরগির মাংস রাখতে পারেন সাধারণত যদি আপনি এক টুকরা খান এখন দুই টুকরা করে খাওয়ার চেষ্টা করে আপনাকে অনেকে গরুর মাংস খাসির মাংস বেশি করে খাওয়ার কথা বলতে পারে গরুর মাংসে খাসি মাংসে ওজন বাড়ানো সম্ভব তবে আমি এগুলো নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিব না এগুলোর সাথে নানা ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি আছে তাই ওজন বাড়ানোর সময়ে এগুলো পরিমিত পরিমাণে খাওয়াই ভালো। গরুর মাংস খাসির মাংস থেকে যে প্রোটিন আস্ত মুরগির মাংস ডিম ডাল থেকে আপনিতো অনায়াসেই পেয়ে যাবে।


দ্রুত ওজন বাড়ে কি খেলে


এখন আসি রাতের খাবারের দুপুরে যে খাবারগুলো কথা বলছি সেটা রাতের জন্য প্রযোজ্য দুপুরে ব্যস্ততা বাসার বাইরে থাকার কারণে যদি কিছু  না হয় তবে তারা রাতের খাবারের দুপুরবেলার খাবার যোগ করার একটি সুযোগ থাকে। এবার আসি কিছু নাস্তার আয়োজন বানানোর সময় একটা খুব ভালো নাস্তা হচ্ছে বাদাম যেকোনো ধরনের বাদাম খেতে পারেন চিনা বাদাম কাজু বাদাম কাজু বাদাম পেস্তা বাদাম এটা আপনার জন্য সুবিধা হয় বাদামের স্বাস্থ্যকর ফ্ল্যাট আছে অনেক ধরনের মিনারেল ভিটামিন ফাইবার আছে এটাও একটি পরিবাহী খাবার অর্থাৎ পেটের নাড়িভুড়ি উপকারী জীবনকে সুস্থ রাখেন ওজন বাড়ানোর জন্য কয়েকটা বাদাম খেতে পারেন দুপুরে রাতে খাবার পরে। 

কোন বাদাম খেলে ওজন বাড়ে

বাদাম কেনার সময় খেয়াল রাখবেন এটাতে যাতে অন্য কিছু মেশানো না থাকে যেমন চিনি লবণ ইত্যাদি বিশেষ করে যারা দেশের বাইরে থাকেন তারা এটা খেয়াল রাখবে কারণ বাজারে অনেক ধরনের চিনি লবণ মেশানো বাদাম প্যাকেজ কিনতে পাওয়া যায় তারপর নাস্তার জন্য বাদাম এর সাথে কিছু মিশিয়ে খেতে পারেন কিন্তু আঙুর ফল শুকিয়ে বানানো হয় অল্প পরিমাণ কিসমিসের অনেক ভিটামিন ও মিনারেল থাকে। 

কিসমিস খেলে কি ওজন বাড়ে

অনেকেই ওজন বাড়ানোর জন্য সাগুদানা কাস্টার্ড পুডিং খাওয়ার কথা বলেন এগুলো খেয়ে ওজন বাড়ানো সম্ভব তবে আমি এগুলো পরামর্শ দেই না কেন দেই না কারণ পুরোটাই শর্করা অর্থাৎ শুধুমাত্র এক ধরনের পুষ্টি উপাদান বেশি পরিমাণে থাকে ১০০ গ্রাম সাবুদানায় প্রোটিন আর ফ্যাটের পরিমাণ এক গ্রামের থেকেও কম থাকে আর ভিটামিন মিনারেল থাকে খুব অল্প পুষ্টিকর একটা খাবার না এটা নিয়মিত খেলে ওজন বাড়তে পারে তবে পুষ্টির ঘাটতি থেকে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে তারচেয়ে বরং যে খাবারে ওজন বাড়ে আর পুষ্টি ও অনেক সেগুলো খেয়ে ওজন বাড়ানোর ভালো। পুডিং এর এগুলো সাধারণত অনেক পরিমাণে চিনি দেয়া থাকে একটু আগে মিষ্টি দই নিয়ে যা বললাম এখানেও তাই অতিরিক্ত চিনি ও চর্বিযুক্ত খাবার যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি সেটা ওজন বাড়ানোর সময় এড়িয়ে চলা ভালো না হলে শরীরের চর্বি জমে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে আপনি যদি চিনি ছাড়া শুধু দুধ দিয়ে কাস্টার্ড পুডিং বানিয়ে খেতে চান সেটা খেতে পারেন তাহলে তিন বেলার খাবার ও নাস্তার কথা বললাম এখন বলছি এই খাবারগুলো কি পরিমাণে খাবেন আমি অনেকগুলো খাবারের কথা বলেছি। 


এবার আসি সতর্কতায় এটা একটু মনোযোগ দিয়ে শুনবেন প্রথম সর্তকতা হলো আপনার ওজন বাড়ানো দরকার কিনা সেটা বোঝা। যাদের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম তাদের ওজন বাড়িয়ে স্বাভাবিক কারণ অল্প ওজনের নানাবিধ স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হওয়া অপুষ্টিতে ভোগা সারাক্ষণ ক্লান্ত লাগে মেয়েদের মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি তাছারও নানা কারণে ওজন কম হতে পারে সেই ক্ষেত্রে চিকিৎসা প্রয়োজন।


 এছারা ও কিছু রোগ আছে যেমন থাইরয়েডের সমস্যা ডায়াবেটিস ইত্যাদি তাই ওজন বাড়ানোর চেষ্টা করার আগে প্রথমেই আপনি একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন শারীরিক বা মানসিক অসুস্থতার কারণে ওজন কম কিনা সেটা তিনি খতিয়ে দেখতে পারবেন আবার যদি মনে হয় কোন সমস্যার কারণে খেতে পারছেন না ঠিকমত যেমন মুখে অরুচি মুখে ঘা খাওয়ার পর পেটে অস্বস্তি হওয়া পেট ফাঁপা ব্যাখ্যা করা খাবার গিলতে কষ্ট হওয়া মনে হয় খাবার গলায় আটকে থাকে খাবার গিলতে ব্যাখ্যা করা অল্প খাবার খেয়ে পেট ভরে গেছে এমন মনে হওয়া খুব ক্লান্ত লাগে কিছুদিন পর পর অসুস্থ হয়ে পড়া পায়খানার অভ্যাসের পরিবর্তন আসে যেমন মনে হয় আগের চেয়ে বেশি বার করে জওযা লাগছে এমন সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।


 এগুলো কোনো গুরুতর রোগের লক্ষণ কিনা সেটা তিনি যাচাই করে দেখবেন এখানে একটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কথা বিনা কারণে ওজন কমে যেতে থাকলে যদি মনে হয় কোন কারণ ছাড়া কোনো চেষ্টা ছাড়া আপনার ওজন কমে যাচ্ছে তাহলে হেলাফেলা না করে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন এটা ক্যান্সারের একটা অন্যতম লক্ষণ। তাই এটি বিশেষভাবে মনে রাখবেন ওজন বানানোর জন্য নিজে নিজে কোন ওষুধ খাবেন না কেউ আপনাকে টাকার বিনিময়ে মোটা হওয়ার ওষুধ ছাড়তে পারে সেগুলো এড়িয়ে চলবেন পারলে একজন ডায়েটিশিয়ানের সাথে পরামর্শ করে নিবেন।



খাবারের পরিমাণ আর কোন ধরনের পরিবর্তন আনতে অনেক সময় গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে খাবার পরিবর্তনগুলো আস্তে আস্তে যেসব খাবারে ফাইবার আছে যেমন ফলমূল ডাল বাদাম শাকসবজি এগুলো পরিমাণ বাড়ানোর সাথে সাথে পানি আর পানি জাতীয় খাবারের পরিমাণ বাড়াবেন তারপরও যে খাবারগুলো তো মনে হচ্ছে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিচ্ছে সেগুলো একটু এরিযে জাবেন।  আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি শীঘ্রই আবার দেখা হবে। 

إرسال تعليق

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.