পিউটন সিরাপ এর উপকারিতা,পিউটন সিরাপ খেলে কি ক্ষতি হয়,পিউটন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম,পিউটন সিরাপ দাম কত,মোটা হওয়ার সিরাপ।
মোটা হওয়ার সিরাপ পিউটন
আজ যে সিরাপ টি নিয়ে কথা বলবো তা নাম হলো পিউটন সিরাপ। এটি একটি ইউনানী ঔষুধ, আজকের পোষ্টে আমি আজকে আপনাদের জনাবো পিউটন সিরাপ এর দাম, কার্যকারীতা,এটি কি দিয়ে তৈরি এবং এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পকে। বাজারে থাকা বহুল প্রচলিত পিউটন সিরাপ চিনে না এমন কোনো মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই দুষ্কর। তো চলুন বাজারে থাকা বুহু আলোচিত ও সমালোচিত এই পিউটন সিরাপ টি নিয়ে আলোচনা করা যাক।
পিউটন সিরাপ দাম কত
পিউটন সিরাপ এর দাম বা মূল্য কত ২০০ থেকে ২৫০ টাকা
শুরু তেই য়ে বিষয় টি নিয়ে কথা বলবো তা হলো পিউটন সিরাপ এর দাম বা মূল্য কত, বাজারে এ সিরাপ এর পাইকেরি মূল্য বা দাম ৭৫ থেকে ৯০ টাকা, তবে এটি খুরচা বিক্রি হয় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। যদিও এর গায়ে দাম লিখা আছে ৩৬০ টাকা। তবে এ সিরাপ বিক্রিতে লাভ বেশি থাকাই আপনি যে কোন মেডিসিন এর দোকানে অনাআসে পেয়ে জাবেন।
পিউটন সিরাপ কি দিয়ে তৈরি
উপাদানে
এবার আাসি এর উপাদানে পিউটন সিরাপ তৈরিতে যে সকল উপাদান গুলো ব্যবহার করা হয়েছে তা নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
প্রতি ৫ মিলি ঔষুধে আছেন জলিয় নির্য়াস হিসাবে আছে,
পাকা পেয়ারা ১.০০ গ্রাম
মভেয মুনাক্কা ০.২৫ গ্রাম
কুসুম- ফুল ০.০০৫ গ্রাম
ছোট এলাচ ০.০০৫ গ্রাম
মজেঠ ০.০০৫ গ্রাম
তেজপাতা ০.০০৫ গ্রাম
দারচিনি ০.০০৫ গ্রাম
করণ ফুল ০.০০৫ গ্রাম
এবং আরো অন্যান্য উপাদান রয়েছে।
পিউটন সিরাপের কার্যকারিতা
এভার পিউটন সিরাপের কার্যকারিতা নিয়ে কথা বলা যায়ঃ বোতলের গায়ের তে এর কার্যকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ করা রয়েছে, যেমন সাধারণ দুর্বলতা, পুষ্টিহীনতা, পাকস্থালী দুর্বলতা, রক্তেরস্বল্পতা ও কোষ্টকাঠিন্য।
পিউটন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম
পিউটন সিরাপ সেবন বিধি
১০থেকে ২০মিলি দিনে ২থেকে ৩ বার অথবা চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
পিউটন সিরাপ খেলে কী মোটা হওয়া যায়
পিউটন সিরাপ খেলে কী মোটা হওয়া যায় এ কথা সত্য তবে তা সাময়িক সময়ের জন্য, এটি সেবন করলে আপনার হজম শক্তি দ্রুত বৃদ্ধি পাবে এবং ঘন ঘন খুদা লাগবে, এবং খুূদার মাএা এত পরিমান বৃদ্ধি পাবে য়ে আপনি ভরা পেট খাওয়ার পরেও মনে হবে এর একটু খাই। অথচ আপনার পেটে কিনচিত পরিমান জাইগা নেই। তাই বলতে গেলে বলা যায় আপনার মুখের রুচি ও খাওয়ার মাএা বেরে যাবে। যেহেতু আপনার খাওয়া মাএা বেড়ে যাবে তাই আপনার ওজন বাড়তে থাকবে। আপনি লক্ষ করলে দেখতে পাবেন আপনার দিন দিন ওজন বাড়ছে।
পিউটন সিরাপ এর উপকারিতা
পিউটন সিরাপ নিয়মিত সেবন করলে আপনি মাত্র ৭ থেকে ১০দিন এর মথাই পতিকার লক্ষ করবেন এবং আপনি মাএ ৭ দিন এর মাথায় ওজন মাপলে দেখবেন ৪ থেকে ৫ কেজি ওজন বৃদ্ধি পেয়েছ। যেহেতু পিউটন সিরাপ আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এ ক্ষেতরে আপনার ওজন বাড়বেই। তবে এটি নিদিষ্ট মাত্রা আতরিক্ত খাওয়া একদমিই ঠিক নয়।
পিউটন সিরাপ এর পার্শপ্রতিক্রিয়া
পিউটন সিরাপ এর পার্শপ্রতিক্রিয়া সম্পকে অনেকে অনেক ধরনের মতামত প্রদান করে থাকে।তো চলুন পিউটন সিরাপ এর পার্শপ্রতিক্রিয়া সম্পকে আলোচনা কার যাক। প্লাভিট সিরাপ পার্শপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে এ কোম্পানি কোন আলোচনা করে নি। আগে বলে থাকি এ সিরাপ বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নয়।এটি একটি এস্টোরয়েড বা সাইপ্রোহেপটাডিন এর মত মারাত্মক ক্ষতিকারক উপাদান দিয়ে এটি তৈরি যা মানব দেহের জন্য ক্ষতিকারক তো বটেই এমনকি স্বাস্থ্যর ঝুঁকি পর্যন্ত রয়েছ।
পিউটন সিরাপ খেলে কি ক্ষতি হয়
এ জন্যই কখনই কোন রেজিস্টার ডাক্তার কিনবা এম,বি,বি,এস, ডাক্তার এই ধরনের ঔষুধ তাদের পেসকিপসনে লিখেন না। আপনারা ভালো করে লক্ষ করলে দেখবেন এটির গায়ে লিখা শরবত শেব্য আসলে এর মধ্য এমন কিছু উপাদান রয়েছ যা কিনা আমাদের স্বাস্থ্য জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। পিউটন সিরাপ নিয়মিত সেবন করলে অনেকের ক্ষেত্রেই শরীরে এলার্জি,লিভারে পানি জমে জায় জার ফলে আপনার শরীল ফুলে যাই যার কারনে আপনে মোটা দেখাই, এাটা আপনার স্বাস্থ্য জন্য মারাত্মক ঝুঁকির কারণ হতে পারে।এছাড়া ও পিউটন সিরাপ নিয়মিত সেবন করলে আপনার কিডনিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে,এমন কি আপনার কিডনি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে পেটের গ্যাস ও বমি বমি ভাব দেখা যায়,অনেক সময় পিউটন সিরাপ নিয়মিত সেবনের ফলে আপনার শরীলে গ্যাস্ট্রিক এর সম্যসা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এছার ও ত্বকে ব্রণ থেকে শুরু করে নানা বিধ সম্যসা দেখা দিতে পারে।
তবে এতে ব্যবহৃত যে কোন উপাদানের প্রতি সংবেদনশীল রোগীদের ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। অপ্রাপ্তবয়স্কদের পিউটন সিরাপ সেবন না করাই উত্তম। যাদের ডায়াবেটিস, কিডনি ও লিভারের সমস্যা, রয়েছে তারা এ ওষুধ সেবন করবেন না। গর্ভাবস্থায় ওষুধ সেবন করা সম্পূর্ন নিষেধ।
বিশেষ সতর্কতাঃ আমার পোষ্টে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে কেউ ঔষধ সেবন করবেন না। আমি এই পোষ্টে করেছি আপনাদেরকে এই ঔষধ সম্পর্কে বেসিক ধারণা দেওয়ার জন্য। আমার অথবা বর্ণনা প্রেসক্রিপশন এর বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না। এর পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করুন কারণ চিকিৎসক রোগীর সকল দিক বিবেচনা করে ঔষধ নির্বাচন ও নির্ধারণ করে থাকেন।
সকল শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন আলো থেকে দূরে ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে রাখুন ধন্যবাদ